ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা গণসংহতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা গণসংহতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের

মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধসহ জনগণের মুক্তিসংগ্রামের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

বুধবার (২৯ আগস্ট) দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, শ্যামলী শীল, মনিরউদ্দিন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবু, আরিফুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক রায় প্রমুখ।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ১৬ বছরে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক সব সংগ্রামের ক্ষেত্রেই তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থেকেছে, সংগ্রাম সংগঠিত করার চেষ্টা করেছে। এই পথচলায় অসংখ্য মানুষের সমর্থনে সাফল্য-ব্যর্থতা ও নবতর চিন্তার সন্নিবেশের মধ্য দিয়ে গণসংহতি আন্দোলন আজ বাংলাদেশের মানুষের নতুন আশার দল হিসেবে সুপরিচিতি।

তিনি বলেন, গণসংহতি আন্দোলন জনগণের নিজস্ব শক্তি গড়ে তোলার ডাক দিয়ে ২০০২ সালে যে যাত্রা শুরু করেছিল তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় একটি গণতান্ত্রিক, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।  

অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ৪৮ বছর ধরে শাসকগোষ্ঠী দেশকে কেবল মুক্তিযুদ্ধে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিলো তার বিপরীতেই পরিচালিত করেনি, উপরন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্থায়ী করে তুলেছে। এই সাংবিধানিক ও ব্যবস্থাগত স্বৈরতন্ত্র বর্তমান সরকারের আমলে চরম রূপ লাভ করেছে। দেশে এখন চলছে চরম স্বৈরাচারী দুঃশাসন, চলছে উন্নয়নের নামে লুণ্ঠন এবং নৈরাজ্য।  

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই অনেকগুলি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিদ্যমান বিভাজনের রাজনীতি ও ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থা দেশকে আরো বিপদে ফেলে দেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে দেশে অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা বাড়বে। দেশে আরেকটি জবরদস্তির নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে ধংস করবে। কাজেই আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্যমত্য তৈরি অত্যন্ত আবশ্যক। আর এর উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।