ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এবারের নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
এবারের নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এক মঞ্চে রাজনৈতিক দলের নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণের ফলে এবারের নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত 'শান্তিতে বিজয়' পুরস্কার বিরতণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের একত্রিত করে এক মঞ্চে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলুসহ ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচটি ইমাম বলেন, এবারের নির্বাচনে আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি দলই অংশগ্রহণ করছেন। এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের সবার দায়িত্ব নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। এছাড়া শুধুমাত্র নির্বাচনের লড়াইকে কেন্দ্র করে কোনভাবেই আমাদের নিজেদের পৃথক করা যাবে না বা উচিত না। আর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আমাদের একসঙ্গেই কাজ করতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এখন অর্থবহ শান্তি চাই। একইসঙ্গে রাজনৈতিক শান্তিও আমাদের অন্যতম প্রত্যাশা। আমরা বিএনপিকে ধন্যবাদ জানায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। এটা অবশ্যই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সেটাকে আরোও এগিয়ে নিতে এখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, শুধু একটি বা দু’টি দল নয়, নির্বাচন সুষ্ঠু রাখতে সব দলকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। তবে আমরা কবরে যে ধরনের শান্তির কথা বলা হয়ে থাকে, সেটি চাই না, আমরা বিচারের ক্ষেত্রে শান্তি চাই। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে দেশ এখন দু’টি রাজনৈতিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। তবে আমরা সবাই একসঙ্গে। আর এখন আমাদের সামনে নতুন যে সমস্যা, জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা, তার জন্য আমাদের সবার একত্রে কাজ করতে হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ হলের মতো সব রাজনৈতিক দলের সহবস্থানের চিত্র সারাদেশে করতে পারলে দেশের চিত্রই বদলে যেতো। কিছু মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে দেশের শান্তি নির্ভর করে, সেগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের একমত হয়ে কাজ করতে হবে। আর সবথেকে বড় যে ব্যাপার, তা হলো আমরা ক্ষমতায় গেলে একপাক্ষিক হয়ে যায়, এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, আমরা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করি। সম্মিলিতভাবে মিলেমিশে কাজ করলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

এর আগে আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের পার্টি প্রধান কেটি ক্রোক এবং সিইও গ্লেইন কোয়ান। তারা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা প্রতিটি দলকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পেতে পারি। আর এ নির্বাচনে নারী এবং তরুণরা যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাতে তাদের আমাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

আয়োজনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শান্তিতে অবদানের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।