ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পাকিস্তান দূতাবাসে ফখরুলের নির্বাচন বানচালের বৈঠক’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮
‘পাকিস্তান দূতাবাসে ফখরুলের নির্বাচন বানচালের বৈঠক’ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: পাকিস্তান দূতাবাসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ এবং গোপন বৈঠক নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। সেইসঙ্গে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য এবং বিএনপি অফিসে নিজেদের মধ্যে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করবে বলেও আওয়ামী লীগ মনে করে। 

রোববার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এ অভিযোগ করেন।  

আব্দুর রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে দূতাবাসে যাতায়াত থাকতে পারে।

তবে বিজয়ের এই মাসে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার করে। একদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে গোপন বৈঠক, অন্যদিকে পাকিস্তানি দূতাবাসে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎ ও গোপন বৈঠক ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়। দুই বৈঠক একই সূত্রে গাঁথা। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সাক্ষাৎ আসন্ন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিকে বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি রয়েছে।  

তিনি বলেন, গতকাল ও আজ বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা যে সন্ত্রাস ও অগ্নিকাণ্ড চালিয়েছে ও চালাচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে আমরা দেখতে পাই, বিএনপির গুলশান ও পল্টন কার্যালয়ে ভাঙচুর। এই হামলা আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশকেই বিঘ্নিত করে না, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সুষ্ঠু ধারাকেও ব্যাহত করে।  আদর্শ বিবর্জিত একটি দলের প্রধান যখন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয় এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্ণধার দুর্নীতির দায়ে যখন পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করে, তখন বিএনপি নেতাকর্মীদের এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আস্ফালন শুধু রাজনৈতিক পরিবেশকে নয় সামাজিক পরিবেশকেও বিনষ্ট করে।  

গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বিএনপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে কি ধরনের বাণিজ্য করেছে। একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে এ ধরনের বাণিজ্য হতে পারে না। যে থেকে বোঝা যায়, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না বরং একটি কর্পোরেট সংস্থা।  

মনোনয়ন বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ উল্লেখ করে আব্দুর রহমান বলেন, এর মাধ্যমে দলের নেতৃত্বের ওপর নেতাকর্মীরদের আস্থাহীনতা প্রকাশ পেয়েছে। এমন মনোনয়ন বাণিজ্যের নেতৃত্বে আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবির রিজভী। যার নেপথ্যের নায়ক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান। একটি নীতিভ্রষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনৈতিক দলের কাছে দেশের জনগণ এর বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না বলে মনে করি।  

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বার বার বলে এসেছি,  বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট কোনো রাজনৈতিক জোট নয়, বরং এটা আদর্শিক। বিএনপির প্রধান শরিক ঐক্যফ্রন্ট নয়, জামায়াত। গতকাল মনোনয়ন ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই আবারও সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আপনারা ইতোমধ্যে জানতে পেয়েছেন শরিক হিসেবে জামায়াত আসন পেয়েছে ২৩টি এবং ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ১৭টি। যার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক যা অবিচ্ছেদ্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এসকে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।