ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বিএনপি পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের পক্ষে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট জোটের ত্রাণকর্তা ও পৃষ্ঠপোষকের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে এদেশের জনগণ তাদের পরাজিত করবে।

‘দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডিত খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন মামলার অভিযোগে, অভিযুক্ত দুর্বৃত্তদের আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার অপচেষ্টা চালিয়ে পবিত্র নির্বাচনকে কুলষিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি, হত্যাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার খুনি পরিবার ও ২১ আগষ্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার হত্যাযজ্ঞের খুনি পরিবাবের সদস্যদের এই নির্বাচনে মনোনয়ন দেবার দৃষ্টতা দেখিয়েছে। ’  
তিনি বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই বিএনপি এখনও খুন ষড়যন্ত্র দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের অপরাজনীতির ঐতিহ্য রক্ষা করে চলছে। জাতির দুর্ভাগ্য এই যে বিএনপির এধরনের দেশ ও দেশের আইন বিরোধী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা ও বৈধতা দিতে আজ জাতির সামনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন ড. কামাল হোসেনের মতো আইনজ্ঞরা। যারা প্রায়ই দেশের মানুষকে আইন শাসন নিয়ে সুষ্ঠু রাজনীতির জ্ঞান বিতরণ করেন।

‘দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচনে ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ তে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। ’

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বলেন, আমাদের পবিত্র সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড. কামাল হোসেন। অনুচ্ছেদটি ১৯৭২ সালের সংবিধানের জন্মলগ্ন থেকেই লিখিত রয়েছে। ড. কামাল হোসেনরা আজ ক্ষমতার মোহে নিজের লিখিত সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করছেন।  

‘উচ্চ আদালতকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির পায়তারায় তিনটি রিট পিটিশন করেছে। হাইকোর্ট বিভাগও এসব আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।  হাইকোর্টের বিচারকরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকে অনুসরণ করেছেন। ’

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য-হাইকোর্টের আদেশ নিয়েও বিএনপি তার চিরাচরিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে আশ্রয় নিয়েছে। বিএনপিকে অপরাজনীনীতি পরিহার করে নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এসএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।