ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পুলিশের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই ইসির’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
‘পুলিশের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই ইসির’ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন, তার নির্বাচনী এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে গণগ্রেপ্তার চলছে। পুলিশের ওপর নির্বাচন কমিশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও বিগ্রেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে মহড়া দিচ্ছে।

পুলিশ এসব অপরাধের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপির দুই নেতকর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে, গুলি করা হয়েছে। আহত নেতাকর্মীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হলেও পুলিশ কোনো মামলা নিচ্ছে না।

তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন থেকেই চাটখিল-সোনাইমুড়ি এলাকায় পুলিশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। বিনা কারণে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে। পাশাপাশি, সারা দেশেও পুলিশ গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। নোয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও এসব অভিযোগের বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে।

খোকন বলেন, পুলিশ কমিশনের কোন কথা শুনছে না। ইসি গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে বললেও পুলিশ এসব আমলে নিচ্ছে না। নতুন নতুন মামলায়, মাদক দিয়ে কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। চাটখিলের ওসি এক বিএনপি নেতাকে আটক করে তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। প্রচরণা শুরুর দিন থেকেই পুলিশের ওপর কমিশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

তিনি বলেন, পুলিশ, সরকারি অফিসার ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসাররা চেষ্টা করেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখতে পারছেন না। এসব অনিয়ম বন্ধে কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কমিশন থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বব্যস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না।

তিনি বলেন, নিরীহ নেতাকর্মীদের পথে-ঘাটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সেলিমসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাফিজ উদ্দীন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। রাস্তাঘাটে অস্ত্রধারীরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দেখেও দেখছে না। ৩৫ জন যুবদলকর্মী আহত হওয়ার পর উল্টো এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।