ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের ব্রিফিং

ঢাকা: পূর্বঘোষিত ২৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণশুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ গণশুনানি হবে। 

শুনানিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় মতিঝিলে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের গণশুনানি ছিলো ২৪ তারিখ। এটি আগামী ২২ তারিখ শুক্রবার হবে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে গণশুনানি সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং বিকাল ৪/৫টা পর্যন্ত চলবে। এটাই আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দুইদিন কেন এগিয়ে আনা হলো— প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন,  কোথাও জায়গা পাওয়া যাচ্ছিলো না। যেহেতু আমরা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পেয়েছি ২২ তারিখ, সেজন্য গণশুনানির তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে।

এই গণশুনানি থেকে কী অর্জন করবে ঐক্যফ্রন্ট— এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। সেদিন জনগণ জানতে পারবে একাদশ নির্বাচনে কী ঘটেছিলো, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা তুলে ধরবেন।

গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে, তাদের গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না— এমন প্রশ্নের ‍উত্তরে ড. কামাল বলেন, এগুলো আমার জানা নেই।

তবে আ স ম আবদুর রব বলেন, স্যার যেটা বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সকল প্রার্থী, প্লাস বাইরে বাম ঐক্যজোটসহ প্রগতিশীল দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যদি অন্য কোনো দল থাকে, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যেসব দল আছে তাদের এবং বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল যেসব দল আছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আপনার প্রশ্ন যদি এরমধ্যে থাকে আমার বলার কিছু নেই, স্যারও (ড. কামাল হোসেন) কিছু বলবেন না। আর যদি না থাকে এই প্রশ্ন অবান্তর।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিলো না। এ সময় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আপনারা তো উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করেন। বলা হলো তো জামায়াতে ইসলামী ছিলো না।

সরকারবিরোধী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাত পাখা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো, তাদের গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে আ স ম আবদুর রব বলেন, এটা বিবেচনা করে দেখা হবে।

বিকেল সাড়ে ৪টায় থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি হয় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে। তার সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার দেশে ফিরলেও মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।