ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতা শাহ আলমের পদত্যাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
বিএনপি নেতা শাহ আলমের পদত্যাগ

নারায়ণগঞ্জ: কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম পদত্যাগ করেছেন। 

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পদত্যাগের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আলম।  

তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে পদত্যাগ করেছি।

শাহ আলম বলেন, ‘দেশ, জাতি ও জনগণের সেবা করার জন্য আমার রাজনীতিতে আসা। বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন গত সেপ্টেম্বরে আমার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি এ বিষয়ে অবগত হয়ে উচ্চ আদালত থেকে নাশকতার ওই মিথ্যা মামলায় জামিন পেয়েছি। ’

‘আমার মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আফিয়া-জালাল ফাউন্ডেশন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জান্নাহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আজীবন জনগণের সেবা করে যাবো। জনকল্যাণমূলক কাজে দলমত-নির্বিশেষে আমার নিজ এলাকা ফতুল্লাসহ সব এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করি। ’ 

জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, বিএনপির দুঃসময়ে গত ১০ বছর তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে আগলে রেখেছেন মোহাম্মদ শাহ আলম। তার পদত্যাগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দুঃখ ও হতাশার সৃষ্টি হবে।  

জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও নাটকীয়ভাবে শেষ মুহূর্তে এসে ২০ দলীয় জোটের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এলাকায় অপরিচিত মনির হোসেন কাসেমীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হন। এ মনোনয়ন বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। মনির হোসেন কাসেমীকে ভোটের মাঠে দেখা যায়নি এবং কোনও ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেননি। নির্বাচনের চারদিন আগে অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

২০০৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ শাহ আলম আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ২ হাজার ১০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।