ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঐক্য সুসংহত চান ড. কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
ঐক্য সুসংহত চান ড. কামাল ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নতুন নির্বাচন ও  বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করে জাতীয় ঐক্যকে আরো সুসংহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। 

রোববার (৩১ মার্চ)  বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

'অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দিতে হবে ও জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা কর'  শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ড. কামাল বলেন, আজকে যে দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমি এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি। তবে আজ নেগেটিভ কথা বলতে চাই না, পজেটিভ কথা বলতে চাই। আজকের এ দাবি পূরোণের জন্য আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করতে হবে।  

তিনি বলেন, সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। এটা সংবিধানে লেখা আছে। বঙ্গবন্ধু যেটা স্বাক্ষর করে গেছেন। সব ক্ষমতার মালিক যদি জনগণ হয় তাহলে অবশ্যই শাসন ব্যবস্থা হবে গণতন্ত্র। সকল দলের মানুষের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐক্য থাকতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দ্বিমত হলে আমাদের ঐক্যে আঘাত আসে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে  দর্শক সারি থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনবরত স্লোগান দিতে থাকে। একই সঙ্গে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও সালাম। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়া লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এসময় ড. কামাল হোসেন চুপ করে থাকেন।  স্লোগান বন্ধ হলে ড. কামাল বলেন, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। এখানে সবাই বলেছেন, তাদের (খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দি) অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমিও তাদের মুক্তির ব্যাপারটি পুরোপুরি সমর্থন করি।
 
এসম গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ড. কামালে কাছে গিয়ে কিছু বলেন। তখন তিনি কিছুটা রেগে গিয়ে বলেন, 'আমি কোনো কথাই বলব না'। সবাই যা বলেছে আমি তো তাতে ঐক্যমত পোষণ করেছি।  

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য  সরকারি চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড বলেছে শিগগিরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না। অবিলম্বে আমি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।  

মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তিনি বাইরে বের হলে জনগণকে ধরে রাখা যাবে না।
  
তিনি বলেন,  সরকার ঐক্যকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। বিএনপিকে যদি ফ্যাক্টর না হয় তালে বিএনপি নিয়ে এতো কথা কেন? এসময় তিনি দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানান।  

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.  আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.  জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু,  সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নূরুল আমিন বেপারী, শাহ আহমেদ বাদল, রেজা কিবরিয়া, প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।