ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্যারোল নয়, জামিনে মুক্তি চাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
প্যারোল নয়, জামিনে মুক্তি চাই

ঢাকা: যেকোনো মূল্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার মুক্তির আন্দোলন আমাদের অবিলম্বে শুরু করতে হবে। 

তিনি বলেন, জামিন তার প্রাপ্য। যে মামলায় তিনি কারাগারে, সেই মামলায় অন্যরা জামিনে আছেন।

তিনি কেন জামিন পাবেন না।  

রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।  

সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্যারোলের কথা বলিনি। আমরা জামিনে মুক্তির কথা বলেছি। তারা দেশনেত্রীকে আটক করে রেখেছেন, কারণ তারা ভয় পান। দেশকে বাঁচাতে হলে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আদালতে সরকারের প্রভাব থাকায় দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আইনজীবী হিসেবে আপনাদের বলবো, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। আপনারা যদি চান, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অনুকম্পা বা দয়ায় হবে না, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। সময় আসবে, ঘোষণাও আসবে, প্রস্তুতি নেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সময় বেশিদিন নাই। শেখ হাসিনা প্যারোলে মুক্তি নিয়েছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া প্যারোল নেন নাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো, খুব বেশিদিন নাই, আপনাদের নেতাকে জনগণের কাছে প্যারোল চাইতে হবে। জনগণের নেত্রী জনগণের মধ্যে আসবে আন্দোলনের মাধ্যমে। কারও অনুকম্পা চাই না।

গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।

পরে বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ মির্জা ফখরুলকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

অনশনে  'খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই ' সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি চাই স্লোগানে মুখরিত রাখে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ। এতে অংশগ্রহণ করেন যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল সহ-অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

এদিকে, অনশনকে ঘিরে সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ ছাড়াও বেশকিছু সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।