ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈদুল ফিতরের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
ঈদুল ফিতরের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি

ঢাকা: ঈদুল ফিতরের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে দরকার। তাকে মুক্তি দিলে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষ শান্তিতে থাকবে।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মজলুম জননেতা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, একজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তার বয়স হয়েছে, এখন তার সময় মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ানো। কারাগারে কাটানোর সময় না। তাকে মুক্তি দিলে বাইরের আলো বাতাস পেলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তখন কোনো ডাক্তারি চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না। কারাবন্দি অবস্থায় যতোই তাকে ডাক্তার দেখান, ভালো করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বিপদে রয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের সবচেয়ে বড় ঋণ খেলাপিদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেশে আজ সুশাসান নেই, ব্যাংকগুলোতে খেলাপি হচ্ছে, শেয়ার বাজারে ধস নামছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে গুম, খুন, লুটপাট চলছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শহর, গ্রাম সব জায়গায় লুটপাট করছে। দেশের অগ্রগতিকে আওয়ামী লীগকরণ করা হয়েছে। ফলে সরকার অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, দেশে আজ যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে সাধারণ মানুষের কাজে আসবে না। আর গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। আজ এ ইস্যু জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চায়।

দেশের সংসদ অকেজো হয়ে গেছে উল্লেখ করে নোমান বলেন, যে দেশে ভোটের আগের দিন ভোট হয়ে যায়, সে দেশের সংসদ অর্থহীন। জনগণের কাছে তার কোনো মূল্য বা গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমরা সেটাকে সংসদ বলবো না। জনগণের কাছে এর থেকে যে বিষয় বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়, তা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে হবে। ভুলত্রুটিগুলো সমাধান করতে হবে। এটা সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় প্রয়োজনে। আমাদের আরো সংগঠিত হয়ে দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

ডা. জাফুরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আতাউর রহমান ঢালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক জসীমউদ্দীন আহমাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব ও ভাসানী অনুসারী অনুষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুর ইসলাম বাবলু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার জহির উদ্দিন স্বপন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আখতার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।