ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশের শিশুরা অধিকারবঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
দেশের শিশুরা অধিকারবঞ্চিত: মির্জা ফখরুল বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিশুরা পাখির মতো ডানা মেলে উড়বে, সুশিক্ষা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন গড়ার মাধ্যমে বিশ্বকে দেবে এক নতুন বাংলাদেশ। কিন্তু, আজ দেশের শিশুরা অধিকারবঞ্চিত, অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির রোষানলে আবদ্ধ। প্রতিনিয়ত তাদের ওপর চলছে পৈশাচিক নির্যাতন, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  রাজধানীর আইডিইবি ভবনে জিয়া শিশু অ্যাকাডেমি আয়োজিত ১১তম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা শাপলাকুঁড়ি-২০১৯ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কোন সমাজ নির্মাণ করছি? যে সমাজে ফুলের মতো শিশুদের আমরা ভালোবাসতে পারছি না, তাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারছি না।

চারদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা। একটা ভয় কাজ করছে।

তিনি বলেন, যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, তখন যুবক ছিলাম। আজ আমি প্রায় বৃদ্ধ। ৪৮ বছর হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার। এই স্বাধীনতার স্বপ্ন কিন্তু আমরা দেখিনি। বাংলাদেশের এই চিত্র আমরা আশা করিনি, সেই জন্য আমরা অস্ত্র তুলে যুদ্ধও করিনি। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সত্যিকার অর্থে ‘একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে’ গানটিকে প্রেরণা হিসেবে সামনে রেখে। ফুল ফোঁটাতে চেয়েছিলাম আমরা। এমন একটি বাসযোগ্য ভূমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে, আনন্দে বাস করতে পারবো। কিন্তু, আমাদের সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। যদিও, অনেক রাস্তাঘাট তৈরি হয়েছে, অট্টালিকা হয়েছে, আমাদের জীবনযাত্রার মান অনেক বদলে গেছে, তারপরও আমরা নিরাপদ যে বাসভূমি, তা দেখতে পাইনি। এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ শিশুরা পর্যন্ত ঘৃণা ও সন্ত্রাসের বাইরে থাকতে পারছে না। আমাদের শিশুরা অহরহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, হত্যার শিকার হচ্ছে। একটা ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুকে কীভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা যায়- এটা আমাদের বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, আজ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনেক খারাপ কথা আমাদের শুনতে হয়, যা আসলে সঠিক নয়। জিয়া হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আমরা কাউকে ছোট করতে চাই না, সবাইকে উপরেই রাখতে চাই। কিন্তু যে মানুষটির অবদান আছে, তাকে ছোট করার অধিকার কারও নেই। যার যা অবদান, জাতি তা সবসময় স্মরণ রাখে ও তার মূল্য দেয়। আমরা অনেকেই জানি না, এই শিশু অ্যাকাডেমি তৈরি করেছিলেন জিয়াউর রহমান।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিয়া শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।