বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এ দাবি তোলেন। কর্মসূচিতে ‘জিয়াউর রহমান কর্তৃক ষড়যন্ত্রের শিকার পরিবারের সদস্যবৃন্দ’ উপস্থিত ছিলেন।
এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সাবেক সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদ, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইতিহাসের আরেক জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সংঘটিত হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে মেজর জিয়া তার সামরিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার দেশপ্রেমিক সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন। সেনা ও বিমান বাহিনীর ১ হাজার ৪০০ সদস্যকে সামরিক ট্রাইব্যুনালে তথাকথিত বিচারের নামে কারা অভ্যন্তরে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে।
তারা আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের মরদেহ পর্যন্ত গুম করে ফেলে। ওই সব হতভাগ্য সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের লাশ পর্যন্ত দেখতে পারেননি স্বজনরা। ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী দাফন করতে পারেননি। তাছাড়া জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমান বাহিনীর তিন হাজারেরও বেশি সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়, ৫ হাজারের বেশি সেনাসদস্যকে চাকরিচ্যুত করে।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা জাতির কাছে তুলে ধরার দাবি জানানো হয় কর্মসূচিতে। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের শিকার ফাঁসি ও কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং চাকরিচ্যুত সেনাবাহিনীর সদস্যদের তদন্তসাপেক্ষে নির্দোষ প্রমাণের দাবিও করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/