ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাহস ছিল বলেই ২০১২তে মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করেছি: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
সাহস ছিল বলেই ২০১২তে মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করেছি: মেনন বক্তব্য রাখছেন রাশেদ খান মেনন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, অনেকে আমাকে বলে, মন্ত্রিত্ব পাইনি বলে ক্ষোভ থেকে কথা বলছি। কিন্তু, আমি বলতে চাই, ওয়ার্কার্স পার্টির সেই সাহস ছিল বলেই ২০১২ সালে মন্ত্রিত্বের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছি। এরপর যখন বিএনপি-জামায়াত জোটের তাণ্ডব শুরু হয়েছে, তখন রাজনৈতিক প্রয়োজনে ওয়ার্কার্স পার্টি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেছিল। এটা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কারও একক সিদ্ধান্ত নয়। 

শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পাটি জানে কীভাবে রাজনীতি করতে হয়, কীভাবে দেশ এগিয়ে নিতে হয়।

অনেক বন্ধু আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন। কেউ মতাদর্শের কথা বলে সরে গেছেন, কেউ সরে গেছেন এনজিওর ফান্ড রক্ষা করতে। আবার কেউ আমাদের নৌকায় তুলে দিয়ে এখন বলছেন, নৌকা মানতে চাই না।  

তিনি বলেন, আজও কেউ কেউ সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি তাদের বলতে চাই, ওয়ার্কার্স পার্টি বাংলাদেশে একমাত্র প্রাসঙ্গিক দল। ওয়ার্কার্স পার্টির পর কোনো প্রাসঙ্গিক বামপন্থি দল বাংলাদেশে নেই। আজ আমি না থাকলে ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেডরাই এই লড়াই এগিয়ে নেবেন ও বিজয় অর্জন করবেন।  

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক খেতাব কপালে জুটেছে। কখনো সাম্প্রদায়িকতার, কখনো নাস্তিকের, কখনো খেতাব জুটেছে আমি হঠকারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী। কিন্তু, তারপরেও আমি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। এখনো দেশে যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চলছে, আমি যেহেতু ঢাকা-৮ আসনের এমপি, সেই আসন জুড়ে যখন ক্যাসিনো নিয়ে তোলপাড়, সেই ক্যাসিনোকাণ্ডের সঙ্গে আমাকে জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। আমি বলে দিতে চাই, আমার জীবনে সততার পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমি সৎ ছিলাম, আছি।  

ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বলেন, দেশ আজ উন্নত হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু, বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। দেশের দুই শতাংশ মানুষ মোট সম্পদের ৩৩ শতাংশ দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রতি চারজনের একজন অতিদরিদ্র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, অনেকে মনে করেন, ওয়ার্কার্স পার্টি রাজনীতি বোঝে না। কিন্তু, ওয়ার্কার্স পার্টি কোনো ছাতার তলে থেকে রাজনীতি করে না, কারো কাঁধে হাত রেখে রাজনীতি করে না। ওয়ার্কার্স পার্টি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। আমরা ২১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এই কর্মসূচি হচ্ছে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি। এই ২১ দফা নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, নূর আহমেদ বকুল, সুশান্ত দাস, হাজেরা সুলতানা, মাহমুদুল হাসান মানিক, কামরুল আহসান, ইনামুল হক ইমরান, ড. আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২,২০১৯
আরকেআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।