ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী বরাবর ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের স্মারকলিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী বরাবর ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের স্মারকলিপি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংকটে কৃষি উৎপাদন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক-ভাসমান শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের তিনশ’ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক ২০ হাজার কোটি টাকা বিশেষ প্রণোদনা এবং প্রকৃত শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য ‘লেবার কার্ড’ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। দাবি আদায় না হলে আগামী ৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়াসহ চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

শনিবার (৬ জুন) দুপুরে পুরানা পল্টনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

লিখিত বক্তব্যে আশরাফ আলী বলেন, ‘কৃষকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা, প্রকৃত শ্রমিকদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যাচাই-বাঁছাই শেষে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে ‘লেবার কার্ড’ দিয়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, কর্মহীন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জামানত ছাড়া আইডি কার্ড ও ব্যক্তিগত গ্যারান্টি নিয়ে দুই বছরের মধ্যে পরিশোধের জন্য সুদবিহীন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ঋণ দিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে ইন্তেকাল করা রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মধ্যে যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও লোনে জর্জরিত তাদের পরিবারকে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হওয়া প্রবাসীদের সহজ শর্তে লোন দিতে হবে। পাসপোর্টের ভিসা জটিলতা দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া ও দেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করা মানুষের কাফন, জানাজা, দাফনসহ সৎকারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব সেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন, তাদের ‘করোনা যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া, এমন করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ইন্তেকালকারীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও সেচ্ছাসেবীদের জন্য ১০ লাখ টাকা জীবনবিমা সুবিধা দিতে হবে। ’

এ দাবিগুলো আদায়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচি হলো: ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ, ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ৩ মাসের মধ্যে জেলায় জেলায় কৃষক-শ্রমিক সমাবেশ ও ডিসেম্বরের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক-শ্রমিক জাতীয় মহাসমাবেশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মু. হারুন অর রশিদ, সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল শহিদুল ইসলাম কবির, এবিএম শেহাব উদ্দিন শেহাব, অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল করীম, ওবায়েদ বিন মোস্তফা ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী মুহিববুল্লাহ কাজেমী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
এমএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।