ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশের সংকটকালে তরুণরাই ভূমিকা পালন করেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২০
দেশের সংকটকালে তরুণরাই ভূমিকা পালন করেছে ওয়েবিনার।

ঢাকা: করোনা সংকটের শুরু থেকেই বাংলাদেশের তরুণরা এগিয়ে এসেছে সংকটে পর্যুদস্ত মানুষের সেবায়। হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যার যার অবস্থান থেকে।

সরকারের তরুণ সাংসদ, দলের তরুণ নেতা, এই সংকট থেকে উত্তরণের সংগ্রামে কেউ পিছিয়ে নেই।

তরুণদের এই সামগ্রিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিকের ১০ম পর্ব।

এই পর্বের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘করোনা সংকট মোকাবিলায় তরুণদের ভূমিকা’। এই বিশেষ ওয়েবিনার প্রচারিত হয় দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এবারের পর্বে আলোচক হিসেবে যুক্ত হন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, চট্টগ্রামের নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতালের মেডিসিন ও ইনফেকশাস ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাছান চৌধুরী মারুফ, মিশন সেভ বাংলাদেশ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান কাদির এবং চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্টার সাংবাদিক জিনিয়া কবির সুচনা।

 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, যুগে যুগে সংকটকালে সবসময় তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বর্তমান করোনা সংকটকালে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে সবার আগে গিয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। আমার নির্বাচনী এলাকায় ডাক্তার যাবে বাড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে যখনই কেউ অসুস্থ হয়েছে খবর পেলেই ডাক্তার তার বাড়িতে ছুটে যেতেন, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিতেন। আমার এলাকা নদী ভাঙন প্রবণ এলাকা, নদী ভাঙনের শিকার সেই সব মানুষের পাশে আমি সবসময় দাঁড়িয়েছি। আমার এলাকায় অসহায়, দুস্থ মানুষকে করোনাকালীন সংকটে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমরা হাওরঅঞ্চলসহ দেশের বন্যাকবলিত সমস্ত এলাকায় কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে পেরেছি।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নের আগ থেকেই তরুণরাই সকল সংগ্রাম আন্দোলন ও সংকটকালে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তরুণরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

সায়েম খান বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তারুণ্যের সংস্কৃতিকে ধারণ করে। যদি দেখা যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি পর্যন্ত সব জায়গাতে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংকটকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা কর্মী মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দুর্যোগ মহামারি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ছিল বলেই দুর্যোগ শুরুর পর থেকে দল ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি নেতা কর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাছান চৌধুরী মারুফ বলেন, করোনা শুধু আমাদের দেশের চ্যালেঞ্জ নয় সারা বিশ্বের চ্যালেঞ্জ এটা। আমরা অনেক রাজনৈতিকদের কথা শুনেছি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে এই মহামারি মোকাবিলা করেছে তার প্রশংসা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ২ হাজার চিকিৎসক, মেডিক্যাল ট্যাকনোলজিস্ট নিয়োগ দিয়েছেন। তরুণ আরও ২ হাজার ডাক্তার এবং ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেবে সরকার।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, করোনার এই মহাসংকটে আপনারা জানেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রথম দিন থেকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলো আমরা ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে আমরা বাড়ির মালিকদের বুঝিয়ে এই সমস্যার সমাধান করছি এবং করোনার শুরুতেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তখন কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক হয়ে তাদের জানাজা ও দাফন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
এসকে/এমইউএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।