ঢাকা: সদ্য পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের বিচার দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিজাইন করেছেন এবং শোনা যাচ্ছে যে, তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। আসলে তাকে তো বরখাস্ত করা উচিত ছিল। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকই নয়, এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত আছেন, ভুল তথ্য দিয়েছেন জনগণকে, তার দায়-দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের ওপরে বর্তায়।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এখানে শুধু মহাপরিচালকের রেজিগনেশন নয়, মহাপরিচালকের বিচার এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ইতোমধ্যে সে দাবি করা হয়েছে—এটা অত্যন্ত যৌক্তিক একটি দাবি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এত চরমে পৌঁছেছে যে, অধিকাংশ কোভিড-১৯ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই বলে জানা গেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের কাছে করোনা যেন আশীর্বাদরূপে আবির্ভাব হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, মাস্ক, ওষুধ সরবরাহ দিয়ে শুরু বলা যায়।
মির্জা ফখরুল জানান, এখন পর্যন্ত বিএনপি ত্রাণ বিতরণ করেছে ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৮০ পরিবারের মাঝে। এর সঙ্গে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ড্যাব করোনার শুরু থেকে জনসচেতনতামূলকসহ চিকিৎসা সেবার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোও ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে।
ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে করোনা সম্পর্কিত জাতীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব আবদুস সালাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল ও ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ