ঢাকা: কমিটিতে পদ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় হবিগঞ্জ জেলা শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগকারী মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মাহতাবুর আলম জাপ্পি গত ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার আবেদন জানান।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, আসন্ন থানা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ার আশ্বাসে জেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে জাপ্পির প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা আদায় করেন। কিন্তু তাকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি। এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি তিনি ওই আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দেন।
এ আবেদনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে ছাত্রলীগের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হবিগঞ্জ জেলার শাখার সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। একইসঙ্গে সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় মাহতাবুর আলম জাপ্পিকে (কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাধবপুর উপজেলা শাখা, হবিগঞ্জ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এ বিজ্ঞপ্তির পর ছাত্রলীগের অনেক নেতাই প্রশ্ন তুলছেন, ঘুষ দিয়ে বহিষ্কার হতে হলো আর যারা নিয়েছেন, তারা কেন কমিটিতে থাকবেন? তাদেরও তো বহিষ্কার করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
এসকেবি/এএটি