ঢাকা: যেভাবে পাট শিল্প ধ্বংস করা হয়েছে, ঠিক সেই পথেই ট্যানারি শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, গত বছর কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে নিরব প্রতিবাদ হিসেবে সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি না করে লক্ষাধিক পিস চামড়া ধ্বংস করেছিলেন অনেকে। কাঁচা চামড়ার দামে ধস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। পাশাপাশি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয় গরিব ও এতিম জনগোষ্ঠী। করোনার কারণে চামড়া নিয়ে এবারো সেই সঙ্কট আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে চরম অর্থ সঙ্কট চলছে। এ কারণে এবারও ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক থেকে কোন টাকা পাবে কিনা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সঙ্গে ভয়াবহ বন্যার কারণে দিশেহারা দেশের ৩১টি জেলার অর্ধকোটির বেশি মানুষ। ঘরে ঘরে নিরন্ন অভুক্ত মানুষের হাহাকার। বানভাসি মানুষের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বানভাসিদের ঈদ। জনগণের এই চরম দুর্দিনেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। তাদের সফলতা শুধু মিথ্যাচারে।
রিজভী বলেন, গত ২১ জুলাই জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) পক্ষ থেকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে এ বছর চলমান বন্যা ১৯৮৮ সালের চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কিন্তু এই নিশুতি সরকার তা আজো কানে তোলেনি। তাদের কোন ভ্রুক্ষেপও নেই।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে মনে করি এই ভয়াবহ অবস্থা মোকাবিলা করা আওয়ামী লীগের ভঙ্গুর আর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন দিয়ে সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজনে জাতীয়ভাবে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। একগুয়েমি বাদ দিয়ে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিন। বন্যা দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ