ফরিদপুর: দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুরের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে শহরের হাড়োকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত শুক্রবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর রুবেল ও বরকত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
রুবলে ও বরকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘যাদের আশ্রয়, প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন’ তাদের সবার নাম উল্লেখ করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, সিআইডি’র দায়ের করা ওই মানি লন্ডারিং মামলায় প্রধান আসামি বরকত ও রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাজমুল ইসলাম লেভী ও বিলাল হোসেনসহ আরও অনেকে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলায়, সিআইডি’র চাহিদা অনুযায়ী তাদের দু জনকেই গ্রেফতার করা।
এর আগে একই দিন দুপুরে শহরের চরকমলাপুর নিজ বাড়ি সংলগ্ন চেম্বার থেকে একই অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
আরআইএস