ঢাকা: ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহা প্রায় আড়াই মাসের ব্যবধানে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে হারিয়েছে বিএনপি। এই তালিকায় শাজাহান সিরাজ, শফিউল বারী বাবু, আবদুল আউয়াল খানসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও তৃণমূলের কর্মীরা রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, কেউ কেউ বার্ধক্যজনিত কারণে আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিন জটিল রোগভোগের পর মৃত্যুবরণ করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন পর্যন্ত ২ মাস সাত দিনের ব্যবধানে দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী মারা গেছেন। এর মধ্যে দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী শাজাহান সিরাজ, মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার সাবেক যুবমন্ত্রী যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কাশেম, পিরোজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম মঞ্জু , চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হক, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর আহসান উল্লাহ হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা শফিউল বারী বাবু মারা গেছেন।
এছাড়া জেলা পর্যায়ের যেসব নেতা মারা গেছেন তাদের মধ্যে আছেন, লিভিং ঈগল খ্যাত পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল আজম, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী টিএম গিয়াস উদ্দিন, শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বাদল, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল কবির মজনু, আখাউড়া বিএনপির সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম আহমেদ, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল তালুকদার, বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বামনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান চিনু জমাদ্দার, নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেতা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিএনপি গঠিত জাতীয় পর্যবেক্ষণ সেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে গত ২১ জুলাই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওই দিন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিএনপির ৭৮ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। একই সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় ২৩২ জন নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, গত আড়াই মাসের মধ্যে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা যাদেরকে হারিয়েছি তাদেরকে ভুলে থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়। আল্লাহ তাদের জান্নাতবাসী করুক। যারা এখনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আল্লাহ তাদের সুস্থ করুক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২০
এমএইচ/এএটি