ফরিদপুর: মানি লান্ডারিং মামলায় ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ আগস্ট) ভোরে শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফরিদপুরের ঝিলটুলি এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলযোগে চলন্ত রিকশা থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক সেবিকার ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তিনি রিকশা থেকে পড়ে মারা যান। এ ঘটনায় ফারহানের অনুসারীরা জড়িত প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে ফারহান আত্মগোপনে ছিলেন।
ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, ফরহানকে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা মামলায় সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। পরে তাকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে নিজেদের জিম্মায় ঢাকায় নেবে সিআইডি। সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টা থেকে শনিবার (১ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টা পর্যন্ত ফারহানসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অপর দু’জন হলেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভি (৬১) এবং জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (৫৪)।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেল বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং এর অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভায়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাজমুল ইসলাম লেভি, বিল্লাল হোসেন ও ফারহানকে মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডি পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২০
আরআইএস/