ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট। যদিও এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন শুরু হয়। এর আগে অবশ্য খালেদা জিয়ার জন্মদিন সেভাবে পালন করা হয়নি।
যদিও বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের নেত্রীর জন্মদিন বহু আগে থেকেই ১৫ আগস্ট পালন করা হয়। আগে এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই তারা এই জন্মদিনকে বিতর্কিত করতে চাইছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর গত ২ বছর খালেদা জিয়ার জন্মদিনে তেমন আয়োজন ছিল না। দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে এটি পালন করা হয়েছে। এ বছরও তেমন কোনো আয়োজন হচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জন্মদিনে কেক কাটা হবে কি না সে বিষয়ে কোনো ধরণের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা, দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মী যারা করোনাসহ অন্যান্য রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও অসুস্থদের আশু সুস্থতা কামনা; বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি মানুষদের দুর্দশার হাত থেকে রেহাই পেতে আগামী ১৫ আগস্ট (শনিবার) জাতীয়তাবাদী দলের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছে।
তবে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন কিনা, অথবা জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, দলের পক্ষ থেকে যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেটাই দলের কর্মসূচি। এর বাইরে অন্য কোনো কর্মসূচি আছে বলে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
এমএইচ/জেআইএম