ঢাকা: সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এখনও আছে চারপাশে।
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়। সংঘাতে জর্জরিত প্রান্তর ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চায়। কিন্তু যতক্ষণ শেখ হাসিনা আছে আমাদের সমৃদ্ধ আগামীর বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের সুদৃঢ় ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হতে হবে, সম্মিলিত প্রয়াসে শেখ হাসিনার হাতকে করতে হবে শক্তিশালী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলায় কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ঠাঁই নেই। প্রশ্রয়ও নেই কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির। সব ষড়যন্ত্র মারিয়ে জনগণের ভালোবাসা এবং সমর্থন নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে চলমান যাত্রা তা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। অদম্য গতিতে, পৌঁছে যাবে অর্জনের সোনালী দিগন্তে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের রাজনীতিতে হত্যা-সন্ত্রাস ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই ৷ এখনও তারা সে চর্চা অব্যাহত রেখেছে। নিলর্জ্জভাবে তারা গুম খুনের কথা বলে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই তারা কি অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করেনি? ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর হতে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিল। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বাঁচাতে যারা ইনডিমিনিটি দিয়েছিল সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি ধারাবাহিকতায় আবারও ২০০৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অপারেশন ক্লিনহার্টের হত্যার বিচার বন্ধে ইনডিমিনিটি দিয়েছিল। আজ তারা মানবাধিকার, হত্যার বিচারের কথা বলে।
কাদের বলেন, ২০০৫ সালের এ দিনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাড়া সারাদেশের ৬৩ জেলায় প্রায় ৫০০ জায়গায় একযোগে হামলা চালানো হয়। এতে দুজন নিহত অন্তত ৫০ জন আহত হয়। সেদিন রাষ্ট্রযন্ত্র নীরব ছিল কেন? নিশ্চয়ই সরকার প্রশ্রয়দাতা আর পৃষ্ঠপোষক ছিল, তা নাহলে কিভাবে এ দীর্ঘ প্রস্তুতি জঙ্গিরা নিল। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট আর ২১ আগস্ট এসব একইসূত্রে গাঁথা। সব হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। সব হত্যা, সন্ত্রাস অভিন্ন ষড়যন্ত্রের অংশ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবু উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপকি আবু আহাম্মদ মন্নাফি, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
এসকে/ওএইচ/