ঢাকা: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবির নাম পরিবর্তন, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নাম বদল এবং প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার প্রশ্নসহ নির্বাচন কমিশনের তুঘলকি কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবির নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব কোনক্রমেই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নহে।
তিনি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’ একটি ঐতিহাসিক দলিল। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এ নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব এবং প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা বিলোপ করে আইনের খসড়া তৈরি করায় প্রমাণ হয়েছে ইলেকশন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্বের বাইরে তুঘলকি কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত।
আ স ম রব বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে এ নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে, যা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। তাদের তিন বছরের দায়িত্বের মাঝে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনও দেশবাসীকে উপহার দিতে পারেনি। এজন্য নির্বাচন কমিশনের বিবেকের সামান্যতম অনুতাপ পরিলক্ষিত হয়নি এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেনি।
তিনি বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের সরাসরি ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকার পরও সে ক্ষমতা সরিয়ে ফেলার প্রস্তাবে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে নিজেকে অযোগ্য করে তুলছে। নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কোন প্রচেষ্টা কমিশনের নেই।
রব বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করে জাতীয় জীবনে যে ক্ষতি ও ক্ষত করেছে নির্বাচন কমিশন তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তুঘলকি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকাই হবে জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ