ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২০
আ’লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে: মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: আওয়ামী লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় কিছুক্ষণ আগে আমাদের একজন বিজ্ঞ আলোচক বলেছেন, পুতুল সরকার। এটা (আওয়ামী লীগ সরকার) আধিপাত্যবাদের পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা শুধুমাত্র তাদেরই এজেন্ডা এখানে বাস্তবায়িত করছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করি।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া অবদানের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী একজন ক্যারিসমেটিক লিডার। তিনি তো ছিলেন হ্যামিলনের বংশীবাদক। তিনি লন্ডন থেকে দেশে এলেন, রোহিঙ্গারা এসে গেছে তখন। আমরা তাকে বললাম আপনার একবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করা দরকার। তিনি রাজি হলেন। আমরা কক্সবাজারে গেলাম। এ সময় আসা ও যাওয়া পথে ছিল লাখ লাখ মানুষ।

বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা শুরু হলো। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করলাম যে, বেশ কয়েকটি দেশের ডিপ্লোম্যাটিকরা টুইজডে ক্লাব বলে একটি ক্লাব তৈরি করল। সেই ক্লাবে আবার একটা আন্দোলন শুরু হলো মিলিতভাবে যে যোগ্য প্রার্থীর.. । সবই একই সূত্রে গাঁথা ছিল। তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব স্বতন্ত্র অবস্থানে আছে। এ সরকার যদি থাকে এদের প্রতিনিধিরা যদি সংসদে আসে তাহলে তাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য এখানে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না। এর ফলে আমরা দেখেছি, তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন নাটক তৈরি করেছে, বিভিন্নভাবে আমাদের এখানে ১/১১’র সরকার তৈরি হয়েছে, তার পরে দেখি যে, দুই বছর সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে সরকার নিয়ে গেছে এবং তারপরে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে যে নির্বাচনটা ছিল ষড়যন্ত্রমূলক। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একবারের জন্যও মাথা নত করেননি।

১/১১ সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে এ দিবসটিকে বিএনপি ‘কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা হয়। সভায় লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।