ঢাকা: কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বণ্টনের বিষয়ে অবিলম্বে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে জনগণকে তা অবহিত করা জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলছে, গণমাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী যে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তা অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিমূলক।
শনিবার বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে রোববার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় বিএনপি।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রাপ্তি জনগণের অধিকার। ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বণ্টন নিয়ে কোনো রকম দুর্নীতি না করে স্বচ্ছ নজরদারি ও জবাবাদিহিতার আওতায় নিয়ে এসে মানবিক কারণে জনগণকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা। এছাড়া রাশিয়া এবং চীন ইতোমধ্যেই তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনও পর্যন্ত কোনো স্বচ্ছ ধারণা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের জন্য যথাযথ তাপ নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যথায় সংগৃহীত হলেও তা কার্যকারিতা হারাবে। অবিলম্বে ভ্যাকসিন বিষয়ে সরকারের অবস্থান এবং গৃহীত পদক্ষেপের সঠিক তথ্য জনগণকে অবহিত করার দাবি জানায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনের দিনে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি বাসে, গণপরিবহনের কয়েকটি স্থানে অগ্নি-সংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, রিমান্ড এবং গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা তুলে নিয়ে যাওয়া কয়েকজন নেতাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে জবানবন্দী দেওয়া এবং সিসিটিভি ফুটেজ-এর বরাত দিয়ে তাদের গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
আগামী ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত ‘শহীদ মিলন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ