ঢাকা: ব্রিটিশের কারাগারও কবি নজরুলের কণ্ঠরোধ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিপ্লব চলেছে সারা জীবন।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রাজদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার দিবস স্মরণে জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম শেষ জীবনে হয়তো অনেক কিছুই বুঝতেন না, কিন্তু তার জীবন সংগ্রামের জীবন শক্তি তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। এ বিপ্লবের জেরেই তাকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশের হাতে। ১৯২২ সালের ১২ আগস্ট কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এ পত্রিকার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সশস্ত্র বিপ্লববাদের ক্ষেত্রেও ধূমকেতুর বিশেষ প্রভাব ছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এ রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার ওই সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিন তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার নজরুলের স্বাধীন কণ্ঠস্বর, নির্ভীক মনোভাব এবং কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি চরমপন্থী তৎপরতা আখ্যা দেয়। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে গণজাগরণের জন্য এত তীব্র ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে আঘাত করার মতো কেউ ছিল না। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে নজরুলের মতো এমন বিদ্রোহীর আর কোনো দৃষ্টান্ত ছিল না। ফলে, তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল। অত্যাচার ও নির্যাতনের যে অভিজ্ঞতা তার হয়েছিল, তাকে সহজেই বিশ্ব সাহিত্যে সবচেয়ে বিদ্রোহী কবি বলে আখ্যা দেওয়া যায়।
জাতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক সোলায়মান সোহেলের সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সালমা আক্তার, মাহাবুবুল আলম, ছাইদুর রহমান, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস