ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নেতাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্প্রতি এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত বছর ২২ ডিসেম্বর ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরের রুমসহ ডাকসু ভবনে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এ সময় নুরসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পরদিন ২৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যসহ তিনজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এই হামলার ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রইচ উদ্দীন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০৩৫ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইযাসির আরাফাত তূর্যসহ তিনজন গ্রেফতার হয়ে দেড় মাসের মতো কারাগারে ছিলেন।
সেই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়, ঘটনার দিন মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ, ফারুকহ অজ্ঞাতনামা ২০২৫ জন নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যার ফলে উভয়পক্ষের কয়েকজন ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীরা একটি ইস্যু তৈরি করে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে। যার কারণে বাদী ঘটনা প্রত্যক্ষ না করে লোকমুখে শুনে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে আরও বলা হয়, তদন্তকালে মামলাটি প্রমাণে কোনো সাক্ষ্য, প্রমাণ ও আলামত পাওয়া যায়নি। তদন্তকালে নুরুল হক নুরের দায়েরকৃত সম্পূরক এজাহারের বর্ণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আসামিদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
কেআই/এসএমএকে/এসআইএস