ঢাকা: ভাস্কর্য ভাঙার হুমকির মাধ্যমে রাজনৈতিক মোল্লারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দ্বিতীয়বার হত্যা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দলটির পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানে ও শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার কথা এবং বিজয় দিবসে বিজয় দিবসের কথা হয়। তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের যে বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা বলার জন্য বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমরা ছুটি চাই না, আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বাণী দেবেন, মন্ত্রীরা মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে ফুল দেবেন এবং স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মী এবং সমবেত জনতার উদ্দেশে ইনু বলেন, ১৯৭১ সালের খুনিরাই মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ এবং বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক মোল্লা হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুঙ্কার ছাড়ছে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা ’৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের দোসর। তারা বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা করতে চাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্রমণ মানে বাংলাদেশে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর আক্রমণ।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুঙ্কার দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে ধামা চাপা দিতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে অস্বীকার করতে চায় তাদেরকে এ বিজয়ের মাসে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। পাকিস্তানের দালাল এ রাজনৈতিক মোল্লারা দেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অস্বীকার করে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটা দেশোদ্রোহীতার সামিল, প্রচলিত আইনের লংঘন। অবিলম্বে এসব রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের আর কোনো দিন কেউ এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে না পারে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান ও শিখা চিরন্তনে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
আরকেআর/এএটি