রাজশাহী: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা এবং সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র উচ্ছেদ ও ভাস্কর্য বিরোধীকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার।
সমাবেশে মেয়র লিটন বলেন, এরা তারাই যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, এরা তারাই যারা ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমে হানি ঘটিয়েছিল, এরা তারাই যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিল। এরা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয়। কখনও মীর জাফর, কখনও জগৎ শেঠ, কখনও ইয়াহিয়া খান, কখনও আইয়ুব খান, কখনও খন্দকার মোশতাক আহমেদ, কখনও জিয়াউর রহমান। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে না। এরা জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধুকে ভয় পায়। বাংলার মাটিতে এদের কোনো ঠাঁই হবে না।
এ সময় খায়রুজ্জামান লিটন জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট মৌলিবাদীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন- আপনারা যতই তারেক রহমানের টাকায় হৃষ্টপুষ্ট হন, আপনাদের হুমকি-ধামকিতে আমরা ভয় পাই না। রাজশাহীতে সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করা হবে। পারলে আপনারা বাধা দিয়েন, আপনাদের পিঠের চামড়া থাকবে না।
সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তা নির্ধারণ হয়ে গেছে। আপনারা কারা, আপনারা কোথায় ছিলেন? যখন দেশে ধর্মের নামে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়, যখন গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হয়, যখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়, তখন কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা মাঠে আছে, যতদিন বঙ্গবন্ধুর একটি কর্মী জীবিত আছে আপনাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক পঙ্কজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, আতিকুর রহমান কালু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
এসএস/আরআইএস