ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ২০তম বার্ষিকী বুধবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ২০তম বার্ষিকী বুধবার

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ২০তম বার্ষিকী বুধবার (২০ জানুয়ারি)।  

২০০১ সালের এদিনে পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র।

সেদিন বোমা হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়াও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় আহত হয়ে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। পাশাপাশি বোমা হামলায় শতাধিক সিপিবির নেতাকর্মী আহত হন।

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে ২০ জানুয়ারি দলের মহাসমাবেশে নিহত নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

তারা বলেন, নানা টালবাহানার পর দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলেও এ হামলার পেছনের বিভিন্ন শক্তিকে চিহ্নিত করা হয়নি। শুধু আইনগতভাবে নয়, বোমা-হামলার পেছনের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক বিষয়গুলোও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক শক্তির উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি কর্তব্য। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের ট্রুথ কমিশন গঠন করতে হবে।

সিপিবির নেতারা আরও বলেন, বোমা-হামলায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। সিপিবি সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করছে। এসব পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। হত্যা-হামলা-মামলা নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের আন্দোলন দমানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের স্বপ্নের শোষণমুক্ত সমাজ, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে। শহীদদের রক্তপতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে।

বিবৃতিতে নেতারা এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান।

পল্টনের বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সারাদেশে সিপিবির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।