ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আমরাও সশস্ত্র হবো অজস্র মৃত্যুতে: কাদের মির্জা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
আমরাও সশস্ত্র হবো অজস্র মৃত্যুতে: কাদের মির্জা

নোয়াখালী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বুধবার (২১ এপ্রিল)।  

এই প্রস্তাব দেওয়ার একদিন পর নিজের অনুসারী রাজু নামের এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় ফের ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অজস্র মৃত্যুতে সশস্ত্র হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

কাদের মির্জা লাইভে এসে তার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি শান্তির প্রস্তাব দিয়েছি। আমি আজকের দিন দেখব, দেখার পরে আগামী দিন তোমাদেরকে সিদ্ধান্ত দেবো। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে রাজপথে আমিও থাকব। আমি দেখব কোথাকার পুলিশ, প্রশাসন কী জিনিস! প্রয়োজনে জেলে যাব, জীবন উৎসর্গ করব। আমি আর ছেড়ে দেবো না। ’

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আমার ছেলেকে এভাবে আহত করার পর এরা কীভাবে থানায় বসে মিটিং করে। দিন-রাত তারা সেখানে মিটিং করে, আড্ডাবাজি করে। প্রত্যেকটা ছেলের হাতে অস্ত্র; অস্ত্র নিয়েই তারা থানায় যায়, ওসির সামনে বসে থাকে। এ অবস্থা যদি চলতে দেয়, আমরাও বসে থাকব না। আমরাও সশস্ত্র হবো অজস্র মৃত্যুতে। ’

তিনি বলেন, 'আমার অফিস থেকে কেউ বের হতে ও ঢুকতে পারে না। এখানে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমার ইফতার আনতে দেওয়া হচ্ছে না। একদিন সেহেরিও আনতে দেওয়া হয়নি। আমরা সেহেরি ছাড়া রোজা রেখেছি এবং ইফতার ছাড়া রোজা ভেঙেছি। আমার রাজু নামের একটি ছেলেকে এখান থেকে গ্রেফতার করেছে। পৌরসভা হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কীভাবে এখান থেকে রাজুকে প্রশাসন গ্রেফতার করে এবং অমানুষিক নির্যাতন করে। ' 

আরও পডুন> কোম্পানীগঞ্জে শান্তি ফেরাতে কাদের মির্জার আহ্বান

প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের বিদ্যমান দ্বন্দ্বে রক্তপাত বন্ধে কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন।  

আবদুল কাদের মির্জার প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, নোয়াখালীর যে সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাদের সরিয়ে অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজিচালক আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের তথ্যেরভিত্তিতে দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে এবং তাদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার এবং প্রশাসনের কাছে বিচারের জোর দাবি জানান তিনি।  

গত তিন মাসের ঘটনায় যারাই মামলা করুক না কেন, রাজনৈতিক কারণে মামলায় অনেককে জড়ানো হয়েছে। সেই মামলাগুলোতে সঠিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করাসহ আরও কিছু প্রস্তাবনা দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এনটি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।