ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে বাদলের ওপর আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
কোম্পানীগঞ্জে বাদলের ওপর আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলা

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।  

শনিবার (১২ জুন) সকালে বসুরহাট পৌর শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করে।  

বাদল সমর্থিতরা জানান, শনিবার সকালে মেয়র কাদের মির্জা তার ৪০-৫০ জন অনুসারী নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দিচ্ছিলেন। এসময় বাদল ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তারা ইসলামী ব্যাংকের সামনে দাঁড়ালে আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা বাদল ও আলালের ওপর হামলা চালান। এ সময় বাদলকে মারধর করলে তার কানের একটি অংশ ছিড়ে যায়। পরে একজন রিকশাচালক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যান, পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এসময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করে।  
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথা, চরএলাহী ও চর ফকিরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন।
 
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশে বসুরহাট হয়ে রওনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আবদুল কাদের মির্জা তার ৪০-৫০ জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০ জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।  
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। একপর্যায়ে গাড়ির গতি রোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা ফাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম করে।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি পুলিশকে জানান, আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা বাদলের উপর হামলা চালিয়েছেন। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  

এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীর উপরও হামলা করা হয়েছে। নূর নবী চৌধুরী এখনও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad