ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই অধিকার খর্ব করছে সরকার: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই অধিকার খর্ব করছে সরকার: ফখরুল

ঢাকা: বর্তমান সরকার পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই জনগণের অধিকারগুলো খর্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকা শীর্ষক এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন জোর করে ক্ষমতা দখল করে একটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতোই মানুষের সব অধিকারগুলোকে খর্ব করছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা তাকে ধবংস করে দিয়ে মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষাকে ভুলুণ্ঠিত করে দিয়ে একটা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানুষের ওপর অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, বিএনপি সবসময় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, রণাঙ্গনে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের সংগঠিত দল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে আশা- আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছিলো, যুদ্ধ করেছিলো সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য বিএনপি সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সেই সংগ্রাম ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সফল হবে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর পাকিস্তানে ছিলো। আমাদের দেশনেত্রী  যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে তার কবরের দেহাবশেষ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়। এ কাজটি খালেদা জিয়া সফলভাবে করতে পেরেছিলেন বলে আজকে বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে দেশের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে সন্মান জানাতে পারেন।

স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।