ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
‘বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সরকার’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সম্পদ পাচার করছেন। সরকার তাদের টার্গেট করছে না, তাদের ধরে না। সাংবাদিকরা কয় টাকা বেতন পান? বাংলাদেশ ব্যাংককে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই সাংবাদিকদের অনেককেই আমরা চিনি। তাদের অ্যাকাউন্ট চেক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সামনে নির্বাচন আসছে, এই নির্বাচনে যত ধরনের অনাচার, অপ-প্রক্রিয়া আছে সরকার করবে এবং তার বিরুদ্ধে যেন কোনো সাংবাদিক না লেখেন, কোনো পত্রিকায় কোনো ধরনের প্রচার না করে, সেই কারণেই রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইনই যেখানে নেই সেখানে আইন দিয়ে কী করবেন? এতে আপনাদের উদ্দেশ্যটা বোঝা যায়। এখন স্বতন্ত্র কেউও নির্বাচন করতে চায় না। তারা জানে যে, নির্বাচনের দিন শেষে সরকারি দলের যে থাকবে তাকে নির্বাচিত করা হবে।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আর হাসান মাহমুদ সাহেব কে এম নুরুল হুদার মতো লোক খোঁজার জন্য যত ধরনের কাজ করা দরকার সেই কাজগুলোই তারা করছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ, সুতরাং তাদের খুঁজে বের করতে হবে কে এম নুরুল হুদার মতো একজন লোক খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।

রিজভী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে এবং যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করে তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি আজকে প্রবল বেগে রাস্তায় নামতে হবে, তার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে তখনই কাজ করবে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুণ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।