ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো অর্জন দেখছে না বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো অর্জন দেখছে না বিএনপি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের অর্জন সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা কোনো আউটকাম দেখছি না। তার অর্জন একটাই আরও মিথ্যাচার কিভাবে করা যায়।

বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভোগ কিভাবে দূর করবেন, কিভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন সেসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু নেই।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরে বাংলা নগরে কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন তার (প্রধানমন্ত্রীর) গোটা বক্তব্যের মধ্যে দেশে যে গণতন্ত্র নেই, মানুষের অধিকার যে হরণ করা হয়েছে, দেশে যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে উপাদান দরকার তার প্রত্যেকটিকে ধ্বংস করে দিয়ে এখানে দলীয়করণের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র স্থাপন করা হয়েছে, এটাকে কিভাবে সত্যিকার অর্থে নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা করবেন, জনগণের দুর্ভোগ কিভাবে দূর করবেন সে সম্পর্কে সেখানে কিছু বলেননি। একইসঙ্গে আমরা দেখেছি, তিনি মিথ্যাচার করেছেন। তিনি তার সম্পর্কে যেসব বক্তব্য মিডিয়ায় এসেছে সেটাকে খণ্ডন করার জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে অনেকগুলো নেতিবাচক কথা বলেছেন। যার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনো আউটকাম পাইনি। এমনকি তিনি রোহিঙ্গাদের সমস্যার কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেননি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তারা কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যারা স্টেকহোল্ডারে আছে সেই চীন-ভারতের কাছেও যেতে পারেনি। আমি মনে করি এ ইস্যুটি জিইয়ে রেখে তারা আন্তর্জাতিক সুবিধা পেতে চায় বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা সব সময় প্রত্যাশা করি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য জনগণের যে ভোটের অধিকার-বাক স্বাধীনতা-বেঁচে থাকার যে অধিকার তা নিশ্চিত করবার জন্য তাদের (সরকারের) শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং সত্যিকার অর্থে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যাতে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে।  

নবগঠিত কৃষক দল সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আনন্দিত আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ প্রথম একটি অঙ্গ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল হয়েছে। তারই নির্দেশে নতুন আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী কৃষক দলের যে নতুন কমিটি হয়েছে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে সারাদেশে কৃষকদের মধ্যে করতে শুরু করবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বর্তমানে যে একটি ফ্যাসিস্ট দানবীয় সরকার নির্বাচন না করেই ক্ষমতা দখল করে আছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের মধ্যে আন্দোলন এবং একইসঙ্গে একটি গণঅভ্যুত্থানের জন্য কৃষক দল কাজ করবে। আশা করি কৃষক দলের নবগঠিত নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা সেটি করতে সক্ষম হবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক আশাদুল করিম শাহীন, কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, নতুন কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, টিএস আইউব, মোশারফ হোসেন এমপি প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।