ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এক যুগ ধরে চলছে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’: রুমিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এক যুগ ধরে চলছে ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’: রুমিন ফারহানা রুমিন

ঢাকা: গণতন্ত্রকে মূলমন্ত্র ধরে যে দেশের জন্ম হয়েছিল সেই দেশে গত এক যুগে চালু হয়েছে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র, সীমিত গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নারী আসনের সংসদ সদস্য ফারহানা রুমিন৷

বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  
ফারহানা রুমিন বলেন, বেশি উন্নয়ন, কম গণতন্ত্র।

উন্নয়নের গণতন্ত্র নামক উদ্ভুত সব শ্লোগান। ঠিক যেমন আইয়ুবের বুনিয়াদি গণতন্ত্র। সামরিক স্বৈরশাসক তার ক্ষমতায় থাকার 
বয়ান হিসাবে উন্নয়নকে বেছে নিয়েছিল। বর্তমান সরকারও একদমই তাই।  

তিনি বলেন, আজকেও ভাবতে অবাক লাগে ইয়াহহিয়ার মতো একজন সামরিক শাসকের অধীনেও ৭০ এ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল সোনার বাংলা শ্বশান কেন৷ যেখানে বঞ্চিত, শোষিত পূর্ব পাকিস্তানের কোন দল ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন বিনা প্রতিবাদে সেই জয়রায়কে মেনে নেওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা না হলে একটা দেশ ভেঙে নতুন আরেকটা দেশের জন্ম হতে পারে। বর্তমানে দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য হিসাব করলে আজকের শ্লোগান হবে সোনার বাংলা নরক কেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়লে পরিষ্কার হয় যে, ৭০ এর নির্বাচন মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে তখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। নির্বাচনে বিজয়ের পরেও ক্ষমতা হস্তান্তরকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফারহানা রুমিন বলেন, আমি দেখি উন্নয়নের বিষে লাল বাংলাদেশ। মার্কিন সংস্থা মিলোনিয়ান চ্যালেঞ্জ করপোরেশন দরিদ্র ও সুশাসন নিশ্চিত করতে চেষ্টা করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন অংকে অনুদান দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ এই ফান্ড পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের ১৬টি ক্ষেত্রে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ। আগের বছরগুলোতে ছিল আরও কম। এখন পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।

এর আগে বুধবার জাতীয় সংসদে এ বিশেষ আলোচনার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রুমিন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সব নাগরিকদের জন্য আইনের শাসনের অঙ্গিকার করা হয়েছিল। আজ দেশে সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী, কিছু ব্যবসায়ী, কিছু

দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মানুষের সঙ্গে বাকি ৯০ শতাংশ মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১ 
এসকে/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।