ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

'পল্লীবন্ধুর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
'পল্লীবন্ধুর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান'

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমাদের বলতে হচ্ছে, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।

তিনি বলেন, এখন রাস্তায় নেমেই কেউ শ্লোগান দিতে পারে না স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।

এতেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র ভোগ করছেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পল্লীবন্ধুর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান আর গণতন্ত্র নিপাত যেতে শুরু করেছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাপা প্রধান বলেন, ১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেন। আবার ১৯৯০ সালে সংবিধান সমুন্নত রেখে এরশাদ সাংবিধানিক নিয়ম নীতি মেনেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।

তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। একটি দলের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেন। দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন তিনি। আবার সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে দলীয় সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেনা, তাই সরকার প্রধান যা বলেন তার বাইরে কিছুই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। তাই সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ কারণেই, জাতীয় পার্টি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন তৈরির দাবি করে আসছে। জনগণের কাছে সরকারের সার্বক্ষণিক জবাবদিহিতায়ই হচ্ছে গণতন্ত্রের চর্চা। কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। কিন্তু কেন স্বৈরাচার বলে তার উত্তর দিতে পারেন না।

এ সময় জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন। যতদিন বাংলাদেশে জাপার অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে পারবে না।

যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওমর, এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, মহিলা পার্টির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান জুয়েল।

এসময়  বিশ্বব্যাংকের সাবেক কনসাল্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।