ঢাকা: বিএনপি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেছেন, এই সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেবে না। আপনারা এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এহসানুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত প্রতীক খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অপরদিকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তার বিদেশ যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে সরকার। আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন একটি পত্রিকায় কয়েকদিন আগে একটি খবর বেরিয়েছে। সেখানে তিনটি শর্তে খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে তারা লিখেছেন। যিনি আজীবন দেশের মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, আপসহীন নেত্রীর খেতাব অর্জন করেছেন, সেই নেত্রীকে শর্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বিএনপি নেতাদের এক দফা কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আপসহীন কর্মী হিসেবে বিএনপির কাছে আশা করবো আপনারা কর্মসূচি দেন। শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমেই শুধুমাত্র বাংলাদেশকে ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই জানিয়ে ২০ দলীয় জোটের এই নেতা বলেন, দেশে আছে হাসিনাতন্ত্র। আইনের শাসন নেই, আছে শেখ হাসিনার শাসন। আজকে আমাদের দেশনেত্রী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। চিকিৎসার জন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যূনতম অধিকারটুকু তার প্রাপ্য ছিল। সেটাও এই স্বৈরাচারী সরকার দিচ্ছে না। তারা অনবরত আইনের বিভ্রান্তিমূলক এবং মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা সতী-সাধ্বী নারীদের অপবাদ দেয় এবং কুৎসা রটনা করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তাদের ‘ফাসেক’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই চরিত্রবান নারীদের অপবাদ দেওয়া হলে তাদের আশিটি বেত্রাঘাত করতে বলা হয়েছে। সুতরাং মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। তাদেরকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এমএইচ/এনএসআর