ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাপার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাপার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাপা নেতারা

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সংবিধানে আইনের দ্বারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো আইন হয়নি। আমরা মনে করি, আগামীতে যে ইসি গঠন করা হবে তার জন্য সংবিধানের বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার।

তাই ইসি গঠনে আইন প্রনয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। বিশেষ করে সংবিধানের সপ্তম ভাগে ইসি গঠনের বিষয়ে উল্লেখ আছে। এখানে অনুচ্ছেদ ১১৮(১) উল্লেখ আছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে (ইসি) নিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্যান্য ইসিদের নিয়োগ দেবেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে আইনের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও এ পর্যন্ত সে  লক্ষ্যে কোনো আইন হয়নি। আমরা মনে করি, আগামীতে যে কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য সংবিধানের উপরোক্ত বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য সিইসি  ও অন্যান্য ইসি সদস্যদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা।

এছাড়াও সংবিধানের সপ্তম ভাগে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ অনুচ্ছেদে বলা আছে ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে। ’ কীভাবে এটি প্রযোজ্য হবে বা কার্যকর করা যাবে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকা আবশ্যক। সে কারণে এ বিষয়ে একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে আইনে না করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে ও কী ধরনের শাস্তি হবে তা সুস্পষ্টভাবে বলা থাকবে। সময় স্বল্পতার কারণে যদি সংসদে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনগুলি বলবৎ করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, যদি কোন কারণে উক্ত অধ্যাদেশ করা সম্ভব না হয় এবং পূর্বের ন্যায় সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য জাপার পক্ষ হতে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

যদি সার্চ কমিটি গঠন না করে সরাসরি ইসি সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির পক্ষ হতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের জন্য একজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বিকেল ৪টায় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যান।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাড. কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এসএমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।