ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতা রচনাকারীদের কোনো নাম ছিল না: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতা রচনাকারীদের কোনো নাম ছিল না: তাপস

ঢাকা: পঁচাত্তর পরবর্তী ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা রচনাকারীদের কোনো নাম ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি পরিচালিত পুরানা মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়। তারপরই জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা হারিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলণ্ঠিত ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়। সে সময় এমন এক ইতিহাস রচনা করা হয়, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো নাম নেই। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আত্মত্যাগ করেছেন, এ দেশের স্বাধীনতা রচনা করেছেন, তাদের কোনো নাম নেই, তাদের কোনো মূল্যায়ন নেই। এভাবে চললো ২১ বছর। আমরা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আসলাম। বাঙালি জাতীয়তাবাদে ফিরে আসলাম।

তিনি বলেন, কোন কিছু শুরু হয় একটি স্বপ্ন দিয়ে। জাতির পিতার কারাগারে নিষ্পেষিত অবস্থায় স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসন আমলে তিনি প্রায় ১৪ বছর কারা নিষ্পেষিত ছিলেন, কারাবরণ করেছেন। এমনও হয়েছে যে, একটি নির্জন সেলে তাকে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আলো-অন্ধাকার কোনও কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না। সবসময়ই অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকত। কখন দিন হলো আর কখন রাত হলো তা বুঝার সুযোগ ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে চরম অত্যাচার নিপীড়ন সহ্য করে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশ আবারও আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, ২০০৮ সালে আমরা আবার নুতন করে স্বপ্ন দেখলাম। আমাদেরকে স্বপ্ন দেখালেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সে সময় ১১ মাস কারাগারে নিষ্পেষিত ছিলেন। সেই কারাগারে বসেই তিনি রচনা করলেন 'দিনবদলের সনদ' রূপকল্প ২০২১। সেই রূপকল্পে লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, ২০২১ সালে মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে দিয়েছেন।

মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি জিন্নাতুল বাকিয়া, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. আবু সাঈদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়:২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।