ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

৭২-৭৫ এর ঘটনা আ.লীগ এড়িয়ে যায়: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
৭২-৭৫ এর ঘটনা আ.লীগ এড়িয়ে যায়: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ সময়কার ঘটনা আওয়ামী লীগ এড়িয়ে যায়। ওই সময়ে আজকের যে বাংলাদেশ দেখা যাচ্ছে, এর সঙ্গে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।  

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ওই সময়েও আওয়ামী লীগ বিরোধীপক্ষগুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করতে চায়নি। ভিন্নমতকে দমন করতে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিল। সর্বশেষ সংবিধানকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। যেটা ছিল জাতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রতারণা।

তখন রাষ্ট্রের এমন একটা অবস্থা হয়েছিল যে চারদিকে চুরি, দুর্নীতি ও ডাকাতি। তখন মানুষের জীবনের কোনো মূল্য ছিল না। সম্পত্তির কোনো নিরাপত্তা ছিল না। কথা বললেই রক্ষীবাহিনী হত্যা করত। সেই সময়ে আওয়ামী লীগ প্রায় ৩০ হাজার তরুণ-কিশোরকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগ নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যেভাবে বিরোধীপক্ষকে, ভিন্নমতকে দমন করছে একইভাবে তখনো দমন করেছিল।

এই অবস্থার পরিবর্তনে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে লড়াই করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু বাংলাদেশে দারিদ্র্যের সংখ্যা বেড়েছে ১০ গুণ। শতকরা ৪২ জন এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। দ্রব্যমূল্য এমনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। প্রতিদিন জিনিসের দাম বাড়ছে। এখন আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। মানুষের জীবনকে এক দুঃসহ অবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছে।

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যেই ডিপোতে এ ঘটনা ঘটেছে, সেই ডিপোর মালিক আওয়ামী লীগের। এখন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। সেখানে যে দাহ্য পদার্থ আছে, তা ফায়ার সার্ভিসকে জানানো পর্যন্ত হয়নি। এতে ফায়ার ব্রিগেডের নয়জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

যুবদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, যুগ্ম সম্পাদক শফিকউল ইসলাম সেন্টু, গোলাম মাওলা শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এমএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।