ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন: ফখরুল

ঢাকা: সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখনও সময় আছে বাঁচতে পারবেন।

পরে আর পার পাবেন না।

রোববার (১২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।  

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ আপনারা এ দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বাজেট করেছেন তাতে দ্রব্যমূল্য কমাবারতো কোনো ব্যবস্থাই করেননি। বরং কীভাবে বাড়ানো যায় তার ব্যবস্থা করেছেন। কোথায় কোথায় বরাদ্দ দিয়েছেন? মেগা প্রজেক্টে। শিক্ষা বা স্বাস্থ্য খাতে কোনো বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি। চুরি-ডাকাতি করে সম্পদ অর্জন করে বিদেশে পাচার করেছেন। বাড়ি কিনেছেন বেগম পাড়া, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আমেরিকায়। সেই পাচার করা টাকা জায়েজ করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। ৭ শতাংশ দিলে সব জায়েজ হয়ে যাবে।  

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল শেখ হাসিনা বললেন তিনি কারও কাছে মাথা নত করেন না। স্বৈরাচার এরশাদ ১৯৮২ সালে যখন ক্ষমতা দখল করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন উই আর নট আন হ্যাপি। অর্থাৎ আমরা অখুশি নই। আবার ১/১১ সময় যখন অবৈধ সেনাসমর্থিত সরকার গঠন হলো তখন আপনি (শেখ হাসিনা) এয়ারপোর্টে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এ অবৈধ সরকারের সমস্ত অবৈধ কাজকে বৈধ করে দেবেন। আমাদের মেমোরি এখনও শর্ট হয়নি। সেজন্য আমরা বলি আপনারা বরাবরই আতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন। আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। তাই এ গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। এর বাইরে এদেশের মানুষ কোনো কিছু মেনে নেবে না। এখনও সময় আছে বাঁচতে পারবেন। এরপর আর পার পাওয়ার সময়ও পাবেন না।

তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে। সেই গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো। সত্যিকার অর্থেই জনগণের কল্যাণের জন্য একটা সরকার গঠন করবো।  

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক-ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, নবি উল্লা নবী, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, তানভীর আহমেদ রবিন, আরিফা সুলতানা রূমা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।