ঢাকা: আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, শুধু গোলাম আযমই নয় যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধসহ আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য অপরাধ সশ্লিষ্টতার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের গ্রেফতার করে বিচারে সোপর্দ করা হবে।
তিনি বলেন, এসব অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে থাকলেও তাদের বিচার সম্পন্ন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর সভাপতিত্বে নবম সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের তৃতীয় দিনে বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে মোশতাক আহমেদ রুহীর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধসহ আন্তর্জাতিক আইনে অন্যান্য অপরাধ বিচারের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের তারকাচিহ্নিত (১১৫ নং) প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আইনমন্ত্রী সংসদকে জানান, ৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত মোট ৪৩জন গণপরিষদ সদস্যকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
‘স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ডে কতজন সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছে?’ ওয়ারেসাত হোসেনের এ প্রশ্নটির সংশোধনী প্রস্তাবে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, দল থেকে বহিষ্কৃত সদস্যদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা বা বহাল রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু করার নেই।
সুপ্রিমকোর্টে কতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে সাংসদ একেএম রহমতউলাহর এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী সংসদকে জানান, ১৫ বছরের অধিক সময়ে মামলার সংখ্যা ৩৮ হাজার ৩৭৬টি, ১০ বছরের অধিক সময়ের মামলার সংখ্যা ৯৫ হাজার ১২১টি।
এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ ও এজলাসের সংখ্যা বৃদ্ধির করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩৪ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০