ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
‘পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে’ ছবি: শাকিল

ঢাকা: পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি করে জনগণের ক্ষতি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এক পদ্মা সেতু নিয়ে যে মাতামাতি করছেন কত মানুষের যে ক্ষতি করেছেন তা কী জানেন?

তিনি বলেন, রাতের পরে দিন আসে, অন্ধকারের পরে আলো আসে। দিন এ রকম থাকবে না, দিন পরিবর্তন হবে।

তাই অন্ধকার থেকে আলো আসার আগে পালিয়ে যান, তা না হলে দেশের জনগণ পদ্মা নদীর পানিতে আপনাদের কে চুবাবে, আপনারা যেমন চুবাতে চেয়েছেন। সুতরাং এখনও সময় আছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। তার সুচিকিৎসার ব‌্যবস্থা করেন।

শুক্রবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এক মানববন্ধনে আলাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে এক বছরে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কারা পাচার করেছে? এটা আমার আপনার বলার দরকার নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন কারা টাকা পাচার করেছে। দেশের আমলারা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরাই টাকা পাচার করেছে।

আলাল বলেন, সারা দেশের জনগণের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি তার সারা জীবনে ২৩টি আসনে নির্বাচন করেছেন। সবকটি আসনেই তিনি জয় পেয়েছেন। পরাজয় বলতে তার কোনো কিছু নেই। আর এ কারণেই এ অবৈধ সরকারের রোষানলে পড়েছেন তিনি।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হলো কিছু গণবিরোধী কর্মকর্তা, কিছু পুলিশ কর্মকর্তার ওপরে আর বিএনপির জনপ্রিয়তা এদেশের জনগণের দোয়া ও সমর্থনের ওপরে।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে আলাল বলেন, খালেদা জিয়া কোনো আওয়ামী লীগের নেতার কাছে হারেনি। আপনিতো টিকে আছেন এক গোপালগঞ্জ নিয়ে। আপনিতো আঞ্চলিক নেতা। আর এ কারণে খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। আপনার (শেখ হাসিনা) গোপালগঞ্জ যেটাকে পারলে আপনি রাজধানী বানান সেই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এখন বুঝে নেন ঘরে যে খাট-চেয়ার থাকে সেগুলোর পায়াও ভেঙে পড়া শুরু করেছে। থপাস করে যেদিন পড়ে যাবেন সেদিন ভারত থেকে সুজাতারা আর আসবে না। সেদিন হাত ধরে তোলার জন্য চীন থেকে আর কোনো বন্ধু আসবে না। সব দিক খেয়ে ফেলেছেন। একদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় অন্যদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সবদিক থেকে আপনাদের তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস‌্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।