ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নাশকতায় মামলা

খুলনায় সাবেক এমপি মঞ্জুসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
খুলনায় সাবেক এমপি মঞ্জুসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

খুলনা: পুলিশের দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওহিদুজ্জামান শিকদার অভিযোগ গঠন করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সরকার উচ্ছেদ, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংস, নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরো নিয়ে রওনার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ। সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।  

আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সোনাডাঙ্গা থানার এসআই পল্লব কুমার সরকার। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা-২ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৭০ জনকে চার্জশীটভুক্ত আসামি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি আমলে নেন ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর। ওইদিন মামলাটির বিচারকার্যের জন্যে বিভাগীয় স্পেশাল জজ খুলনা আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযোগ গঠন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদা ফারহানা। বিপরীতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এসএম মনজুর আহমেদ, মোল্লা গোলাম মওলা, লস্কর শাহ্ আলম, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ রফিকুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বনি প্রমুখ।

অভিযোগ গঠন সম্পর্কে খুলনা-২ সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী সরকার বিরোধী দল-মত দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কাল্পনিক অভিযোগের মামলাগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ভোটডাকাত  লুটেরা সরকার আবারও একটি সাজানো-পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা আঁটছে। আর তথাকথিত নাশকতার মামলাগুলোর সাজানো-পাতানো রায় দিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সে দিবাস্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে লজ্জাজনক পতন হবে সরকারের। তবেই মুক্ত হবে বিচার বিভাগ, প্রতিষ্ঠিত হবে জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এমআরএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।