ঢাকা: আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান প্রসঙ্গে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, পুরোনো রাজনৈতিক পক্ষগুলো নিজেদের অপশাসন টিকিয়ে রাখতে নতুনদের দলে টেনে নিচ্ছেন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এদের বাদ দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশপ্রেমিক মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষা ও বিচার ব্যবস্থায় দলীয় প্রভাব অনেক বেশি। প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা বিভাগে দলীয়করণ করা হয়েছে। দেশে জনগণের প্রকৃত শাসন থাকলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গনবিরোধী কর্মকাণ্ডের পক্ষে থাকতেন না।
তিনি আরও বলেন, সরকার যখন ন্যায়সঙ্গত আদেশ না দেবে, তখন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সে আদেশ প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তারা জনগণের সেবায় নিযুক্ত হয়েছেন এটা সর্বদা স্মরণে রাখতে হবে।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধান রচনার সময় কোনো গণপরিষদ ছিল না। গণপরিষদ সংবিধান রক্ষা করে, পৃথিবীর সব দেশেই এটি রয়েছে। সংবিধানে গণভোটের ব্যবস্থা নেই। গণভোটের বিধান থাকলে নিয়মতান্ত্রিকভাবেই স্বৈর শাসন প্রতিরোধ করা যায়।
আলোচনা সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আট দলের সমন্বয়ে ‘দেশপ্রেমিক মঞ্চের’ আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়।
দেশপ্রেমিক মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হল সর্বজন বিপ্লবী দল, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, স্বদেশী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, পিপলস গ্রীন পার্টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
নবগঠিত দেশপ্রেমিক মঞ্চের প্রধান মুখপাত্র সর্বজন বিপ্লবী দলের সভাপতি ম. ইনামুল হক বলেন, দেশবাসী গণতন্ত্র ধ্বংসকারী আওয়ামী লীগ এবং আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সরকার’, সহজ শর্তের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বরাদ্দসহ ৪ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও জবাবদিহিতার সরকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্য মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মুসলিম লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এনবি/এসএ