কক্সবাজার: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর শাপলাপুর থেকে রাষ্টদ্রোহ মামলায় জামায়াতের ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ এদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, শাপলাপুর ইউনিয়নের মৌলভীকাটা এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে মাওলানা আবু সুফিয়ান, শাপলাপুর বাজার এলাকার আছন আলীর ছেলে সিরাজুল হক প্রকাশ সিরু ও সাতঘর পাড়ার আহছান আলীর ছেলে আবদুল কাদের।
গ্রেফতারের পর জামায়াত কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ ৭ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ২ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে। পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, ‘গত রমজান মাসের প্রথম শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাওলানা আবু সুফিয়ান, সিরাজুল হক ও আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে জামায়াতের ১৫/২০ জনের একটি দল কর্মী সরকার বিরোধী লিফলেট বিলি করছিলেন।
ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ওই লিফলেট জব্দ করে। ওইদিনই শাপলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার ইদ্রিস আহমদ মহেশখালী থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। ’
তিনি জানান, ‘ওই এজাহার পাওয়ার পর তা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে। ’ ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেয়ে এজাহারটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে শাপলাপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। ’
থানার উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জন জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, ওই অভিযুক্তদের নিয়ে ফেরার পথে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কাছে একদল জামায়াত নেতা-কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও গ্রেফতারকৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১০