নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে যারা দায়িত্বে আছেন, তারা ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন নেতাকর্মীরা। গত সাত বছরে কোনো ওয়ার্ডে কমিটি দিতে পারেননি তারা।
জানা গেছে, আগামী ২৫ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু কাউন্সিলের আশায় বর্তমান কমিটির ব্যর্থতার বিষয়গুলো তাই আগেভাগেই কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরেছেন। ওয়ার্ড কমিটির আশাও করছেন তারা।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করা হয় আনোয়ার হোসেনকে। তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন অ্যাডভোকেট খোকন সাহা। তাদের ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু, দুই বছরের বেশি সময় পর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করে কমিটি। ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ঘোষিত কমিটি অনুমোদনের পর মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
দলীয় একাধিক সুত্র জানায়, এ সাত বছরে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি ও সভা করলেও কমিটি নিয়ে কোনো করেননি সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনে রয়েছে ২৭ টি ওয়ার্ড। এসব ওয়ার্ড আবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। ওয়ার্ডগুলোর অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিই আওয়ামী লীগের।
তারাও কমিটি ও সভাপতি-সম্পাদকের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন। পুরো কমিটিই একটি ‘ব্যর্থ হাল’ বলে মন্তব্যও করেছেন তারা।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত বলেন, ওয়ার্ড কমিটি কেন করা যায়নি সেটা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। হয়ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাঝে বোঝাপড়ার অভাব ছিল। সে কারণেই হয়ত ওয়ার্ড কমিটিগুলো হয়নি।
কমিটির ব্যর্থতার দায় নিজের ওপর নিয়ে তিনি বলেন, দায় তো আমাদের সকলেরই। আমি যেহেতু মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যর্থতার দায় আমার ওপরও বর্তায়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটি করতে পারেননি। তাই এ দায় আমাদের নিতেই হবে।
আসন্ন কাউন্সিল সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে অন্য নেতারাও কোনো কথা বলতে চাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এমআরপি/এমজে