বরিশাল: বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশের দুই দিন আগেই সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। বরিশাল শহরের নেতৃবৃন্দ কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে মাঠে প্রবেশ করেছেন। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মিছিলে স্লোগানে সরকার বিরোধী বক্তব্য ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে।
নেতাকর্মীরা জানান, মাঠ প্রস্তুতির বিষয়টি দেখতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসেছেন তারা। অনেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানোর জন্যও মাঠে আসছেন। তবে বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে আসা যুবদলকর্মী ইমন হাওলাদার বলেন, বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় দুই দিন আগেই বরিশালে এসেছি। কোনো হোটেল খালি না থাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি।
বরগুনা থেকে আসা আরেক ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে বুধবার রাতেই বরিশালে এসেছি। দুই দিন আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখায় কোনোমতে রুম পেয়েছি।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু জাফর দিদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কোনোরকমে নৌকা দিয়ে ফেরিতে পার হয়ে বরিশাল পৌঁছেছি। তাও আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের ফেরির স্টাফরা জোর করে নামিয়ে দিয়েছে।
দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন সিকদার বলেন, কোথাও কোনো হোটেল খালি পাইনি। আজ রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকবো। জানি হোটেলে খাবার থাকবে না। এজন্য আমাদের নেতারা মাঠে খাবারের ব্যবস্থা করবেন।
গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের অপকৌশলের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা জবাব হচ্ছে দুই দিন আগেই মাঠে আসছেন তারা। এরা সমাবেশের লোক হলেও এখনো মূল ঢল নামেনি। সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করে বরিশালের গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এমএস/এমজেএফ